চাষাড়া রেলস্টেশন এলাকায় রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫ জুলাই রাতে শহরের কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদেরকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এ নিয়ে পুলিশ এই মামলায় চৌদ্দজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন, ফতুল্লা থানার ইসদাইর নতুন রোড বস্তির শরিফ ওরফ ছকমলের ছেলে জুয়েল (২০), একই বস্তির হেলিম ওরফে জালালের ছেলে সাগর ওরফে দাঁত ভাঙ্গা সাগর (২০), ইসদাইর রেললাইন বস্তির মাসু বেগমের ভাড়াটিয়া মো. হারুনুর রশিদের ছেলে মো. শাকিল (২১) এবং কলেজ রোডের আলমের ছেলে মাঈনুল ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে ভুতু (২০)। এদেরমধ্যে জুয়েল ও সাগর ওরফে দাঁত ভাঙ্গা সাগর এজাহারনামীয় আসামী এবং অপর দু'জন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন।
এর আগে পুলিশ এই একই মামলায় এজাহারনামীয় সাতজন আসামী সম্রাট, সেলিম, আলী, রাকিব ওরফে টাইগার, শিমুল, বিজয়, শরীফ এবং সন্দেহভাজন তিনজন সহ মোট দশ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শরীফ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি প্রদান করে। এ নিয়ে রুবেল হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় নয় জন ও সন্দেহভাজন পাচঁ জন সহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত রুবেল তার পরিচিত রনিকে সাথে নিয়ে ২৮ জুন সন্ধ্যায় জামতলাস্থ ভাড়া বাসা থেকে ঘুরতে বের হয়। রাত দশটার দিকে ইসদাইর বাজারস্থ জয়যাত্রা ক্লাবের সামনে পৌছামাত্র ক্লাব ও মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পরে নিহত হয় রাজমিস্ত্রী পথচারী রুবেল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুন) ফতুল্লা মডেল থানায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম জানান, সোমবার রাতে কলেজ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় দুই জন ও সন্দেহ ভাজন সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :