NarayanganjToday

শিরোনাম

তিন ছক্কার পোক্কা হাতে ধরিয়ে আপনাদের উঠিয়ে দিবো : আলাল


তিন ছক্কার পোক্কা হাতে ধরিয়ে আপনাদের উঠিয়ে দিবো : আলাল

বর্তমান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বাকশাল করে শেখ সাহেবের হত্যাকান্ডের পরে আওয়ামী লীগ নামে কোনো রাজনৈতিক দল ছিলো না। এ আওয়ামী লীগ ডা. কামাল হোসেন ও সাজেদা চৌধূরির লিখিত দরখাস্তের ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান অনুমতি দিয়েছিলেন। সে কারনে আজকে মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করার সুযোগ পেয়েছে।

বুধবার (২৫শে জানুয়ারি) বিকালে চাষাড়ার শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মোটেই সম্মানজনক কথা বলেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভানেত্রীর চেলারা জিয়াউর রহমানকে ছোট করার জন্য যত কথা বলার দরকার সেটা বলেন। গত কয়েকদিন আগে শুনলাম ৪০০ টাকার মেজর সে কি করে আবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ভাই ৪০০ টাকার মেজর ক্যান্টনমেন্টে এখনো আছে না? বেতন হয়তো বেড়েছে কিন্তু ৪০০ টাকার মেজরই তো আপনাদের রক্ষা করেছে। এই ৪০০ টাকার মেজরকে আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) বাবা বীর উত্তম দিয়েছে। নেত্রী শেখ হাসিনা পারলে বুকে টুকা দিয়ে বলেন আপনার দলের মধ্যে কোনো বীর উত্তম আছে কিনা?

২৫শে জানুয়ারী ১৯৭৫ এর গণতন্ত্র হত্যা দিবস স্মরণে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগে সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও  মহানগর বিএনপি।

আলাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধের কথা বলে আপনারা বেহুশ হয়ে যান, আপনারা তো মুক্তিযোদ্ধের ফেরিওয়ালা। আপনারা মুক্তিযোদ্ধ ফেরি করে বেড়ান। যেখানে সুবিধা সেখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের কাঠামোকে দূর্বল করে ফেলেছেন। সেই রাষ্ট্রকে আপনারা সরকারের সঙ্গে একাকার করে ফেলেছেন। রাষ্ট্র ও সরকারকে একেবারে গুলিয়ে ফেলেছেন। যখন আপনারা খেলার কথা বলেন খেলতে চাই মাঠে তখন যেয়ে দেখি খেলোয়াড় হচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবি। কেনো ভাই? এ খেলোয়ার সবার জন্যে, শুধু তো আওয়ামী লীগের জন্য না।

খেলতে খেলতে আপনারা পোক্কা হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তারা তিন ছক্কায় এখন পোক্কা হয়ে গেছে। সুতরাং খেলতে তিন ছক্কার পোক্কা হাতে ধরিয়ে দিয়ে আপনাদেরকে ঘরের মধ্যে উঠিয়ে দিবো। বাংলাদেশের মানিুষের মাঝে আপনারা ঘুরতে পারবেন না।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম টিটুর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিসহ বিএনপির জেলা ও মহানগরের আওতাধীর নেতৃবৃন্দরা।

উপরে