NarayanganjToday

শিরোনাম

আড়াইহাজার দারোগাসহ চার পুলিশ পিটুনীর শিকার!


আড়াইহাজার দারোগাসহ চার পুলিশ পিটুনীর শিকার!

আড়াইহাজারে এক যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাকালে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে উত্তেজিত এলাকাবাসী গণ-পিটুনী দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিটুনীর শিকার চার পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। তাঁদের  স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়েছে। তবে, আসামী পক্ষের লোকজনের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে দাবি করলেও গণ-পিটুনী ও মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

সূত্র জানায়, এদিন রাত ৮টার দিকে আড়াইহাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম , পিএসআই (শিক্ষানবিশ উপ-পরির্শক ) মোফাজ্জল হোসেন, সহকারি উপ-পরিদর্শক মোস্তফা, সহকারি উপ-পরিদর্শক হেলাল সাদা পোষাকে দুটি মোটর সাইকেল যোগে ঝাউঘরা এলাকায় যায়। তাঁরা রমজান আলী নামক এক অটো রিকশা চালককে মারধর শুরু করে। এসময় স্থানীয়রা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাঁদের সাথে অশোভন আচরণ শুরু করলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চার পুলিশ সদস্যকে পিটুনী দেয়।

পুলিশের মারধরে আহত রমজান হোসেন জানান, উপজেলার ঝাউঘরা গোরস্তান সংলগ্ন আমার বাড়িতে এসে আমার পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এক পর্যায়ে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে আমি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে প্রতিবাদ করে। এসময় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সাথে অশোভন আচরণ করে। এতে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের ধরে পিটুনি দেয়।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক জানান, আড়াইহাজার থানা পুলিশের চার কর্মকর্তা সিভিল পোশষাকে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। এসময় আসামির পক্ষের লোকজনের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। তিনি পুলিশকে গনপিটুনি ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন ।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাতে ঝাউঘরা এলাকা থেকে এক নারী ওসির মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় রমজানের ঘরে মাদক দব্য রয়েছে। ওসি এম এ হক বৃহস্প্রতিবার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেমকে ওই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলে। আজ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সাথে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে তিনি গনপিটুনির অভিযোগ অস্বিকার করেন।

তিনি আরো জানান, এর মধ্যে জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ওই নারীকে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার জন্য গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আড়াইহাহার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আড়াহাইহাজার থানার তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করে দেখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৩০ আগস্ট, ২০১৮/এসপি/এনটি

উপরে