আড়াইহাজারে এক অটচালককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে চার পুলিশ পিটুনীর শিকারের ঘটনার নেপথ্য কারিগর মুক্তা আক্তার (২৪) নামের সেই সোর্সকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঝাউগড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
মুক্তা আক্তার ওই অটোচালক রমজানের বড় ভাই আনোয়ারের শ্যালিকা ও প্রতিবেশী মহসীন মিয়ার স্ত্রী। তাঁর কাছ থেকে ৭০ পিস ইয়াবা ও ৫ পুরিয়া হোরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঝাউগড়া এলাকার অটো চালক রমজানকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আড়াইহাজার থানার চার পুলিশ। এসময় এলাকাবাসী পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশকে পিটুনীও দেয়।
তবে মাদক দিয়ে রমজানকে ফাঁসানোর চেষ্টাটি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছিলো, একজন নারীর ফোন আসে পুলিশের কাছে। সে নারী জানায় রমজানের কাছে মাদক রয়েছে। এ সংবাদে অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে জানা যায় ওই মহিলার দেয়া তথ্যটি সঠিক নয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিদের্শে ওই নারী (মুক্তা)কে আটক করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, আটক মুক্তা আক্তার রমজানের ভাইয়ের শ্যালিকা। সে নিজেই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে রমজানকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলো সে।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশ পিটুনীর শিকার হয়েছে, এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ প্রশাসনেও ব্যাপক তোলাপাড় শুরু হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মিথ্যা তথ্যদাতা ঝাউগড়া এলাকার মহসীনের স্ত্রী মুক্তা আক্তারকে আটক করা হয়।
এদিকে পুলিশকে পিটুনী দেয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাউর হয় যে, পুলিশ স্থানীয় অনেকের নামে মামলা দিয়েছে। আর এ ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েও যায়। তবে, আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, এটা একটি ভুল বোঝাঝুঝির ঘটনা। এলাকার কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
৩১ আগস্ট, ২০১৮/এসপি/এনটি
আপনার মতামত লিখুন :