NarayanganjToday

শিরোনাম

বের হতে যতটুকু সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে বের হয়ে যান : সেলিম ওসমান


বের হতে যতটুকু সময় লাগে সেই সময়ের মধ্যে বের হয়ে যান : সেলিম ওসমান

ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন নির্বাচন কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ এবং বহিরাগতদের দেখে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এসময় তিনি বহিরাগতদের দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নগরীর টানবাজার এলাকায় অবস্থিত ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে অনুষ্ঠিত একই সংগঠনের নির্বাচন পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে তিনি ওই নির্দেশনা দেন।

সাংস সেলিম ওসমান হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, যারা বহিরাগত আছেন তাদেও এখান থেকে বের হয়ে যেতে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন ঠিক ততটুকু সময়ের মধ্যে বাহির হয়ে যান। আপনারা বাহিরে গিয়ে চেয়ার পেতে বসুন। অন্যথায় যে প্রার্থীর পক্ষে বহিরাগতরা এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সেই প্রার্থী যেই হন না কেন, তার ভোটের ডিক্লেয়ারেশন বাতিল করা হতে পারে।

এটা কোনো সাধারণ নির্বাচন নয় উল্লেখ্য করে সেলিম ওসমান বলেন, সম্মানিত ভোটররা যা চিন্তা ভাবনা করে এসেছেন সেই তাদের বহিরাগতরা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে বিভ্রান্ত করছেন। এমন খবর পেয়েই আমি এখানে এসেছি এবং আসার পর তার প্রমানও পেয়েছি। সুতরাং সম্মানিত প্রার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ ভোটার এবং আপনারা প্রার্থী ছাড়া কেন্দ্রের ভেতর আর কেউ থাকতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আপনারা যারা প্রার্থী আছেন তারাও বুথের কাছে দাঁড়িয়ে ভোট চাইতে পারবেন না। একমাত্র প্যান্ডেলের একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে আপনারা ভোট চাইতে পারবেন। নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পোশাক এবং সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। সুতরাং কোনো প্রার্থী যদি অন্য কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ করে এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে, তিনি যেই হন না কেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, দ্বি বার্ষিকী নির্বাচন হওয়া কথা থাকলেও দীর্ঘ ৭ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯৩৬ জন ভোটারের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত এসোসিয়েশনের ১৮ জন নেতা নির্বাচিত হবেন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল থেকে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেনারেল গ্রুপ থেকে ৭৭৪ জন ও এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে ১৬২ জন ভোটার ভোট দিবেন।

এম সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের ১৮ জন প্রার্থীরা হলেন এম সোলায়মান, আব্দুল মান্নান মিঞা, আব্দুল্লাহ্ আল হোসেন বাপ্পি, মো. হুমায়ুন কবীর, মো. সাইদুর রহমান মোল্লা, দেবদাস সাহা, মো. আজহার হোসেন, মো. হাবিব ইব্রাহীম, মিন্টু চন্দ্র সাহা, মো. সাইদুর রহমান, মো. মহিউদ্দিন তুরান, মো. আব্দুল কাদির। তারা সকলেই সাধারণ গ্রুপ থেকে নির্বাচন করছেন।

এছাড়াও এই প্যানেলের এসোসিয়েট গ্রুপের সদস্যরা হলেন, মো. মাহফুজুর রহমান খান মাহফুজ, মো. মকবুল হোসেন, মো. কামরুল হাসান, মো. খায়রুল কবীর, অসীম কুমার সাহা, মো. ফয়সাল আহাম্মদ দোলন।

অপরদিকে লিটন সাহার নেতৃত্বাধীন প্যানেলের ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে সাধারণ গ্রুপের সদস্যরা হলেন, লিটন সাহা, অশোক মহেশ্বরী, মো. মোজাম্মেল হক, মো. সেলিম রেজা, মো. মজিবুর রহমান, মো. আমিন উদ্দিন, মো. সিরাজুল হক হাওলাদার, মো. আকবর হোসেন, সঞ্জীত রায়, তাজুল ইসলাম, মোস্তফা এমরানুল হক মুন্না, জয় কুমার সাহা।

এছাড়াও এই প্যানেলের এসোসিয়েট গ্রুপের সদস্যরা হলেন, মোহাম্মদ মুসা, মো. মুকুল হোসেন মল্লিক, মজিবর রহমান, মাওলানা নাজমুল হুদা বিন মাহিদ, মো. মেহেদী হাসান, আফসার আহমেদ।

নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন বিকেএমইএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুরুল হক। সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাশেদ সারোয়ার ও ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু।

২২ ‍জুন, ২০১৯/এসপি/এনটি

উপরে