প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
বিনোদন ডেস্ক
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
বিনোদন ডেস্ক
প্রেম কিংবা রোমাঞ্চের জন্য অনলাইনে সঙ্গী খোঁজার চল শুরু হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে বন্ধু খোঁজা তো এখন পুরোনো হয়ে গেছে।মজার কথা হলো, হাজার বছর আগ থেকেই তাইওয়ানে সঙ্গী খোঁজা শুরু হয়। তখন তো অনলাইন মাধ্যম থাকার প্রশ্নই আসে না। সেসময় উপযুক্ত সঙ্গীর জন্য দ্বারস্থ হতেন এক প্রেমের দেবতার।
সিএনএন জানায়, চীন পুরাণের বুক অব ম্যারেজে ইউ লাও নামে এই দেবতার কথা উল্লেখ আছে। তাইওয়ানবাসীদের কাছে তিনি প্রেম ও বিয়ের ঈশ্বর। সঙ্গী খোঁজার জন্য এখনো তিনি তাদের ভরসাস্থল।
কথিত আছে, চীনের তাং রাজবংশের (৬১৮-৯০৭) সময় এক ব্যক্তি প্রেম দেবতা ইউ লাওর কাছে বললেন, তার ভবিষ্যৎ স্ত্রীকে দেখাতে। তখন ইউ লাও তাকে এমন একজন নারীর কথা বললেন, যার নির্দিষ্ট চিহ্ন থাকবে। তবে ওই ব্যক্তি বিশ্বাস করতেন না যে, ইউ লাওর এ ব্যাপারে কোনো ক্ষমতা আছে।
কিন্তু একপর্যায়ে দেখা গেলো, প্রেম দেবতার ভবিষ্যদ্বাণী ফলে গেল এবং তার কথামতো সেই নির্দিষ্ট চিহ্ন ধারণকারী নারীর সঙ্গেই ওই ব্যক্তি বিয়ে হলো। সেই থেকে ইউ লাওর প্রতি সাধারণ মানুষের এ বিশ্বাস জন্ম নেয় যে, তিনি মানুষের ভবিষ্যৎ সঙ্গী খুঁজে দিতে পারেন।
এখনো তাইওয়ানবাসী প্রেমের দেবতা হিসেবে ইউ লাওর প্রার্থনা করে। এমনকি নতুন-পুরোনো তার একাধিক মূর্তিও রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ, নান্দনিক মূর্তিটি আছে রাজধানী থাইপেইর শিয়া হাই শহরে। এখানে আছে ইউ লাউর এ মন্দিরটিই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দেশটিতে। সূত্র:বাংলার খবর
১৬ ফেব্রুয়ারী,২০১৯/এমএ/এনটি
আপনার মতামত লিখুন :