NarayanganjToday

শিরোনাম

করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের সুচিকিৎসার আহ্বান গিয়াসউদ্দিনের


করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের সুচিকিৎসার আহ্বান গিয়াসউদ্দিনের

চলমান পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে নারায়ণগঞ্জের সকল ধরণের মানুষকে ঘরে থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ টুডে’র সাথে মুঠোফোনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে তিনি ওই অনুরোধ জানান। সাবেক এই সাংসদ বলেন, এর থেকে রক্ষা পেতে হলে এবং এর বিস্তাররোধ করতে হলে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।

প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন, মানুষকে ঘরে রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। প্রশাসনকে সুচিন্ত দিকনির্দেশনা দিতে হবে। হাসপাতাল ক্লিনিকগুলোতে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরবন্দি মানুষগুলো যেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করতে পারে সে দিকটা বিবেচনায় রেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, এই জেলাতে সর্বোচ্চ বহিরাগত মানুষের বসতি। যারা জীবন জীবিকার তাগিদে এখানে বসবাস করেন। অধিকাংশ মানুষই পোশাক শ্রমিক। সম্প্রতি তারা সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর নিজ নিজ গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। রোববার গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি খোলা, এমন ঘোষণা ফের তারা নারায়ণগঞ্জে ফিরেন। পরেরদিন রোববার ফের গার্মেন্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তারা জেলাতেই অবস্থান করছে। বিশেষ করে সদর উপজেলায় এর সংখ্যা বেশি। যা এই জেলার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে, এসময়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত দুঃখজনক।

বিভিন্ন স্থানের জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয় ভোটার নয়, এমন পরিবারকে ত্রাণ দিচ্ছেন না, এমন সংবাদে দুঃখ প্রকাশ করছেন সাবেক এই সাংসদ। তিনি বলেন, ভাসমান মানুষগুলোর জন্য নারায়ণগঞ্জ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। তারা এই জেলাতে এসেছিল বলেই অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। তাদের কারণেই এই জেলা ধনীদের শহর হয়েছে। তাহলে এই দুর্যোগে তাদেরকে কেন সরকারি ত্রাণ দেয়া হবে না? এমন যদি কোথায় হয়ে থাকে, তাহলে সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

গিয়াসউদ্দিন আরও বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি এখন যেন কেউ কোনোভাবেই পণ্য মজুদ করতে না পারে এবং সরকারি ত্রাণ সুবিধা যেন সকলের হাতে হাতে পৌঁছায় সেটি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে পণ্যবাহি গাড়ি যেন অন্য জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ কররতে পারে, সেটিও প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

সাবেক এই সাংসদ আরও বলেন, করোনা মহামারি। এ ছাড়াও অনেকে অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শোনা যায় বর্তমানে কোনো ক্লিনিক হাসপাতালে গেলে নাকি চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চেম্বারগুলোতে ডাক্তার নেই। স্থানীয় ল্যাব বন্ধ। ক্লিনিকগুলোতে রোগী ভর্তি নিচ্ছে না। যা ভয়াবহ বার্ত আমাদের জন্য। প্রশাসনের উচিৎ এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা। একই সঙ্গে এই সঙ্কটকালিন সময়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একটি প্লাটফর্মে এসে লড়াই করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেকে দান করতে গিয়ে রীতিমত ব্যাপক লোক সমাগম ঘটিনে ফেলছেন। প্রচারে আসার জন্য। কিন্তু দান এমনভাবে করা ঠিক নয়। দান করতে হবে গোপনে। যা ডান হতে করলে বাম হাতও যেন টের না পায়। তবে, দান করার ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয় স্বজন, পরিচিত বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা দরিদ্র, যাদের খাবার সংস্থান নেই, তাদেরকে সবার আগে দান করা উচিৎ।

৫ এপ্রিল, ২০২০/এসপি/এনটি

উপরে