NarayanganjToday

শিরোনাম

সেই নারীর অর্থে লোভ ছিল খোরশেদের!


সেই নারীর অর্থে লোভ ছিল খোরশেদের!

করোনাকালিন সময়কে ব্যবসায়ীকভাবে কাজে লাগিয়েছে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, এমন দাবি করেছেন বহুল আলোচিত কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা নারী সাঈদা শিউলি। বুধবার (২৬ মে) একটি অনলাইন লাইভে সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন।

শিউলি ওই লাইভে আরও বলেন, করোনা আসার পূর্বে খোরশেদ অনেকটা অভাবগ্রস্থ ছিল। যখন করোনা চলে আসে তখন সে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে সাবলম্বী হয়েছে। এই সহযোগিতা করার মধ্যে আমিও একজন ছিলাম।

তিনি বলেন, খোরশেদ বিভিন্ন সময়ে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন রকম সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে এবং নিয়েছে। যেকোনো কারণেই হোক আমি যখন চলে আসছি, তার সাথে সম্পর্কটা আর রাখি নাই। তবে, আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি, তার মূল টার্গেট এটাই ছিল যে, আমি ব্যবসায়ীক ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষ। আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার বেড়াজালে ফেলে, আর্থিকভাবে লাভবান হতে চেয়েছিল।

শিউলি খোরশেদকে প্রতারক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমার নিজেরই লজ্জা হচ্ছে, কেন আমি ওইরকম একজন প্রতারকের ফাঁদে পা দিলাম। এজন্য আমার আঠার, উনিশ বছরের যে সম্মান তা এখন নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছি।

তিনি আরও দাবি করেন, খোরশেদ তার অর্থের লোভে, মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ের একটা নাটক করেছিলেন। যা আমি তখন বুঝতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বডিগার্ড রানা মুজিব ও পিয়ন রাজুকে আইনের আওতায় নিয়ে আসলে খোরশেদ সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে যাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী।

প্রসঙ্গত, হঠাৎ করেই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ব্যবসায়ী সাঈদা শিউলি নামে এক নারীকে বিয়ে করেছেন। এমন খবর চারদিকে চাউর হলে হুট করেই লাইভে আসেন খোরশেদ। তিনি সেখানে কেঁদে কেঁদেই দাবি করেন, তিনি কাউকে বিয়ে করেননি। ওই নারীকে উপকার করতে গিয়ে তিনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এরপরই ওই নারীর সাথে অন্তরঙ্গ কথপোকথনের বিভিন্ন স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা গেছে, খোরশেদ ও শিউলির মধ্যকার গভীল প্রণয়ের বিষয়টি। এমনকি একটি পাম্পের ভেতরে তারা ঘনিষ্ঠ হতেন বলেও সেসব স্ক্রিনশটের কথপোকথন থেকে স্পষ্ট হয়।

অন্যদিকে লাইভে এসে ওই নারীর বিরুদ্ধে কূৎসা রটানোর অভিযোগে ওই নারী খোরশেদ ও রেহেনা নামে দুজনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর ওই নারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আরও একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি হুমকি ধামকির মধ্যে আছেন বলে দাবি করেছেন।

তবে, মামলা দায়েরের পর থেকে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও রেহেনা পলাতক রয়েছেন। এরমধ্যে খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা, হয়রানিমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে খোরশেদ অনুগামিরা।

উপরে