NarayanganjToday

শিরোনাম

‘শামীম নয়, জিয়াউর রহমানের গাড়ি আমি আটকিয়ে ছিলাম’


‘শামীম নয়, জিয়াউর রহমানের গাড়ি আমি আটকিয়ে ছিলাম’

‘নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকায় নি’। ‘জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকিয়ে ছিলাম আমি’। নারায়ণগঞ্জের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নারায়ণগঞ্জ টুডেকে’ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের এমন মন্তব্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই নয়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতীক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝেও এনিয়ে ব্যপক আলোচনা হচ্ছে।

এদিকে শহরের ঐতিহাসিক খাবারের হোটেল বোস কেবিনেও আজ জাহাঙ্গীর আলমের এই মন্তব্যকে বিভিন্নজন বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আব্দুল জলিল নামে নয়ামাটির এক হোসিয়ারী ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘গণেশ উল্টায় গেল’ এতোদিন শামীম ওসমান বলতো সে জিয়ার গাড়ি আটকাইছে, আর এখন জাহাঙ্গীর বলে সে আটকাইসে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গাড়ি আটকানোর প্রসঙ্গে ‘নারায়ণগঞ্জ টুডেকে’ দেয়া সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ‘আমাদের দুটি দাবি ছিলো। একটি তোলারাম কলেজকে সরকারি ঘোষনা করা এবং অন্যটি নারায়ণগঞ্জকে জেলা ঘোষনা করা। একদিন হঠাৎ জিয়াউর রহমান শহরের বালুর মাঠে এলেন একটি জণসভা করতে। সেদিন তিনি দুপুর দুইটার দিকে হেলিকাপ্টারে করে চাষাঢ়া ষ্টেডিয়ামে নামেন। তখন শামীম ওসমান সেখানে ছিলোনা। সে ছিলো তোলারাম কলেজের ভিতরে। আমি তখন কলেজের শত শত ছাত্রকে রাস্তায় শুইয়ে রাখলাম। জিয়াউর রহমানের দেহরক্ষীরা তখন ইতোমধ্যে অস্ত্র তাক করেছেন আমাদের দিকে। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, খবরদার ওরা ছাত্র। এরপর তিনি আমাদের কথা শুনতে চান। আসলে শত শত ছাত্র শুয়েছিলো রাস্তায় কয়জনকে মারবে। একপর্যায়ে জিয়া আমাদের ডেকে দাবির কথা জিজ্ঞেস করলে আমি কথা বলি তার সাথে। তাকে গাড়ি থেকে নেমে কথা বলার জন্য বলি। এ সময় তিনি নেমে দাবি শোনার পরই তোলারাম কলেজকে সরকারি বলে ঘোষণা দেন’।

এ সময় শামীম ওসমানের সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু জাতগত ভাবে একজন বিএনপির লোক। তিনি বিএনপির কমিটিতে ছিলো। আওয়ামীলীগে নেতাকর্মীর কি অভাব পরেছিলো? আওয়ামীলীগ থেকে কুতুবপুরে গোলাম রসুল মনোনয়ন চেয়েছিলো। তাকে না দেন, দলের একজন কর্মীকে দিতেন। যে কি-না আওয়ামীগের ঝান্ডা ধরে। আপনি বিএনপি থেকে ভাড়া করে এনে মনোনয়ন দিলেন। সেন্টু কি আওয়ামীলীগে থাকবে? সে পাঁচ বছর প্রচুর অর্থেও মালিক হয়ে যাবে। আরো টাকার পাহাড় গড়বে। দলের দুঃসময়ে সে কখনোই আওয়ামীলীগের সাথে থাকবে না। সে আবার বিএনপিতে চলে যাবে, বলে গেলাম। 

উপরে