NarayanganjToday

শিরোনাম

‘আন্দোলনের বিষয়ে ছাড় নেই, তবে সালামের বিচার করবো’


‘আন্দোলনের বিষয়ে ছাড় নেই, তবে সালামের বিচার করবো’

যে-ভাবেই হোক, বিএনপির সকল আন্দোলন সংগ্রামে সমর্থন দেবো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ছাড় নেই। তবে সালামের (বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক) সঙ্গে বোঝাপোড়া আছে। তার বিচার করবো। (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনলাইন পোর্টাল ‘নারায়ণগঞ্জ টুডের’ সাথে আলাপকালে টেলিফোনে এই কথা জানিয়েছেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়াম্যান ও বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল।

এর আগে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনার ঠিক পর পরই সেই কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন মুকুল।

তারেক রহমানের মাধ্যমে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালামের বিচার করা হবে জানিয়ে আতাউর রহমান মুুকুল বলেন, ‘শুধু টিপু আর সাখাওয়াতের কথায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, সালাম একটি মনগড়া কমিটি দিয়েছে। এর পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। আমাদের তারেক রহমান সাহেবের কাছে এই ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। আর তাকের রহমান সাহেবকে দিয়েই এই সালামের বিচার করাবো’।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনে যোগ্যদের স্থান না দেয়া এবং অযোগ্যদের চেয়ারে বসানো হয়েছে দাবি করে মুকুল বলেন, ‘আহবায়ক কমিটি থেকে আমাদের পদত্যাগ করাটা শতভাগ যৌক্তিক। কারণ এই কমিটিতে দলের সিনিয়র এবং ত্যাগী নেতাদের কোনো সম্মান দেয়া হয়নি। তাই আমরা পদত্যাগ না করলে তাদের অসম্মান করা হতো। পদত্যাগ করে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেই কমিটিতে অযোগ্যদের উপরের স্থানে চেয়ার দেয়া হয়, সেখানে আমাদের থাকাটা শোভা পায়না।

মুকুল আরো বলেন, ‘আমি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলেও বিএনপির সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে আমার সমর্থন থাকবে। বিশেষ করে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের জন্য আমরা যেসব আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি, তাতে আমরা পূর্ণ সমর্থন থাকবে। আর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি অব্যশ্যই পরিবর্তন হয়ে ফিরে আসবে। সেখানে যোগ্যদের যথাযথ মর্যাদা এবং স্থান দেয়া হবে।   

প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও আবু আল ইফসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্যের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই কমিটি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিলো। যাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে নেতাকর্মীরা। মুলত কেন্দ্র থেকে কমিটি দেয়ার একদিন পরই বিভক্তির বিষয়টি প্রকাশ্য চলে আসে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়িতে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১৫ জন নেতা কমিটি থেকে অনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগের ঘোষনা দেন। এরা কমিটি গঠনে লেনদেন, অভিজ্ঞ নেতাদের অবমূল্যায়ণ ও যোগ্যদের স্থান না দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করে পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলো, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আতাউর রহমান মুকুল, আবুল কাউসার আশা। এছাড়া আরো ১৩ জন নেতা এই কমিটি থেকে সেদিন পদত্যাগ করেছেন।

উপরে