শরীরের মানচিত্রে পুরুষ
তারপর সঙ্গম শেষে
ক্লান্ত পুরুষকে মনে হয়
খুব পরিচিত চেনা একটা নগরী
নিয়ম করে প্রতি ওয়াক্তে
রাজহংসীর মতো নরম
চুলে নাক ডোবানোরঅ অভ্যেস
সে নিয়মে অনিয়ম হলেই
পুরুষকে করুণা করতে বাধ্য হই।
সঙ্গম শেষে পুরুষের ভারি হওয়া
চোখের নিচের পাতায়
একটা বয়স্ক ঘুমের সংসার
পাততে দেখলে
মায়া হয় খুব।
অতঃপর নারীর কানের লতি
বেয়ে আসা ঘাম
পুরুষকে ডাকে আবারও
নতুন কোন ডাক নামে।
মস্তিষ্ক থেকে পা পর্যন্ত
গড়িয়ে যাওয়া স্নানের জল,
নারীকে মনে করায়,
` দেবতা, আত্মা, শ্রদ্ধেয় বা প্রেমিক নয়, পুরুষ কেবলই একটা দেহ। সঙ্গমের বিছানায়’’
ঘুম
নিজেকে উপেক্ষা করে
ডিঙিয়ে যাচ্ছে বয়স্ক চাঁদ।
টিমটিমে আলো নিভিয়ে
আমিও পড়ছি ঘুমের নামতা,
কানে ঢুকে যাচ্ছে বিরক্ত
মেশানো কুকুরের ডাক।
ভুরু আর চোখের মাঝের শূন্যতায়
দোল খায় ভোরের আযান,
বোধহয় আমিও ঘুমিয়ে যাচ্ছি
ঈষান কোনের টিকটিকির সাথে।
আচমকা জানালায় চপেটাঘাত,
সকাল আমাকে ডেকে বললো...
উঠে এসো, ঘুম তোমার জন্য স্পর্ধা মাত্র, সময় নেই
ঠেলে পার করো এ বনসাই
জীবন,
এ নিঃশ্বাসের সাঁকো
পারি দাও!!
রাতেরাও জেগে থাকে
তোমার নাম লেখা প্রতিক্ষার
পৃষ্ঠা গুলো আলগা করতে থাকি
কমলার কোয়ার মতো।
আমাকে ফেলেই মাপা হচ্ছে
বয়স্ক দাঁড়িপাল্লায়
রাত আর ভোরের উত্তাপ।
ইদুরের গর্ত আর আমার অতৃপ্ত
চোখের মায়া ফেলেই
সাপ জরুরী মনে করে,খোলস ছাড়ানো টাকেই।
`পোস্টার লাগানো নিষেধ’ লেখা
দেয়ালেও ঝুলিয়ে দিই
তোমাকে ফিরে পাবার অবাধ্য পোস্টার।
তোমাকে ফিরাবার নামতা জপি
সারাটা রাতের জমিন জুড়ে।
তুমি ফিরার আগেই রাতের সমস্তটা মুছে যেতে বাধ্য হয়,
মুয়াজ্জিনের গলার স্বর।
আপনার মতামত লিখুন :