আজ দুঃশাসনের ওপর কাপড় খোলার ভার ছিলো না,
স্বয়ং যুধিষ্ঠির খুলছেন টেনে আব্রু আপন পত্নীর।
যার আব্রুর ভার তারই।
হতবাক দ্রৌপদি আজ কৃষ্ণকে আহবান করলো,
সীতাহেন ডাকলো মা বসুমতীকে।
কিন্তু হায়! তার ভাগ্য এতোটাও সুপ্রসন্ন ছিলো না।
একা যাজ্ঞসেনী দাঁড়িয়ে জন্ম অভিশাপ নিয়ে।
যুধিষ্ঠিরের ছলছল চোখ তাকে আকর্ষণ করছে না,
আর কোন দিন করবেও না।
অপমান অবমাননা দুঃস্বপ্নের মতো সময়
হায় প্রেম!
সয়ং প্রেমিক পুরুষ বাধ্য হওয়ার অযুহাতে অন্দর
মহলের লজ্জা টেনে আনলো রাস্তায়।
উল্লাসে মেতে উঠলো পিশাচেরা,
ক্ষত্রিয়াণীর আগুন চোখে বিস্ময়
আর অভিমানের তীক্ষ্ণ ছোরা।
কেউ জানে না, কেউ বোঝেনি,
ধুতরো চিবিয়েও মৃত্যু আনতে না পারা আশীর্বাদের বোঝা মাথায় নেয়া বস্ত্র পরিহিতা উলঙ্গ লজ্জা!
ধিক! যুধিষ্ঠির, ধিক! অর্জুন! শত ধিক গান্ডীব ধর্মরাজ।
আপনার মতামত লিখুন :