হ্যাঁ ওই ক্যাবলাকান্ত লোকটা, ছ্যা! ওটা নাকি আমার বর! সকলে তো একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ, বলে কিনা কি সুন্দর গায়ের রঙ, লম্বা আর কতো ভালো চাকরি!
ধুর, ছেলে মানুষ অত্তো ফর্সা হলে মেয়ে মেয়ে লাগে, ফাটা বাঙি। কি কপাল! আমারই কিনা এই চিজ জুটলো? আর এক্কেবারে তাল গাছের খালাতো ভাই কাপল পিক তুলতে হলে আমাকে দেড় ফুটের টুলে দাঁড়াতে হবে। এহেন বর কিনা আমার! কেনো যে নিশির কথা শুনলাম না?
ওই ছেলেটা মানে নিশির কাজিন দেখতে একটু গুলুগুলু কিন্তু এটা সত্যি যে ওকে দেখে প্রেম পায় না তাই পাত্তা দিই নি, অবশ্য প্রেম প্রেম ফিলিংসটা নিয়ে ঠিক শিওর নই। আচ্ছা ওটা কি পানি পিপাসার মতো নাকি ফুচকার ঘ্রাণ পেয়ে মন চনমন করে ওঠার মতো?
কেমন থেকে থেকে কান্না পাচ্ছে, বিয়েটা করতে হচ্ছে কারণ আমার ‘বাবাটা’ অসুস্থ তাই আগের মতো আমার স্পেশাল সুপার হিরো আমার সব দিকে খেয়াল নিতে পারে না, মামনী বলেছে মেয়েরা বড় হলে বাবা বুড়ো হলে সুপার হিরো বদলাতে হয় আর তাকে বলে ‘বর’। কিন্তু আমি সুপার হিরো বদলাতে চাই না কারণ আমার সুপার হিরো বেস্ট, কারণ আরো একটা আছে আমাকে নিজের রুম ছেড়ে একটা ছেলে মানুষের রুমে গিয়ে থাকতে হবে ভাবতে গলা ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু বিদায় নেয়ার সময় মামনী আর ফুপি যখন আমাকে ধরে কাঁদছিলো আমি একফোঁটা চোখের পানি ফেলিনি। আমার চোখেই পানি নেই তা নয় শুধু আমার আর আমার বাবার চোখে পানি নেই।
আমি জানি আমার কষ্ট হবে বলে বাবা কাঁদছে না।আর কাঁদছে না ওই দুষ্ট লোকটা মানে আমার বর। মনে মনে বললাম তোমার মজা আমি দেখাবো পরে। আর বাবাকে বললাম, ‘আমি আসি তুমি ভালো থেকো, বাবা!’ চলবে..
আপনার মতামত লিখুন :