বিষয়:
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৭, ২০১৯, ০১:১৬ পিএম
কানিজ রুমা ইরা
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৭, ২০১৯, ০১:১৬ পিএম
কানিজ রুমা ইরা
বারান্দায় দ্বারে চাঁদটা এমনই
স্থির হয়ে আছে;
যেন, লক্ষ্মী পটে কৃষাণীর নিষ্পলক
চোখ!
যতটা স্থির থাকে সদ্যবিবাহিত
শাখা সিঁদুর পরা মেয়েটা!
এই যুবতী চাঁদের গর্ভে আমি
হারিয়ে যেতাম;
বাবার চোখ দিয়ে!
আমি কখনও চন্দ্রস্নানে যাইনি,
সমুদ্রের বুকে চাঁদের ঝকঝকানিও না!
সম্ভবত বাবাও না!
বাবার চোখের ভিতর
আমাকে ডুবুরির মতো;
নামিয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে এনেছে
সাত মহাসাগরের তলদেশে।
চোখে ডুবে দেখেছি নটিলাসের
যাত্রাপথ-
দেখেছি দ্বীপপুঞ্জের ধনরত্ন,
পাখির দুঃখ
আহত বন মোরগের রক্তাক্ত পালক!
কিছু কুড়িয়ে এনে জমিয়েছিলাম-
বাবার বুকপকেটে।
পাহাড়ী সবুজের মাঝে নগ্নপদ
পেলে পেলে,
ঘুম ঘুম মাদকতায় টলতে টলতে,
এখনও মাঝে মাঝে নেমে যেতে
ইচ্ছে হয়,
বাবার চোখ দিয়ে সমুদ্রের
তলদেশে!
বাবাটা এমন-
বেশিক্ষণ আড়ালে থাকলে,
বড্ড অস্থির হয়ে যেতাম!
ফুল পাখিদের দিয়ে পাঠিয়ে
দিতাম
জরুরী বার্তা।
বাবা, এখন তুমি কোথায় আছো?
কোন সমুদ্রের তলদেশে ডুব দিয়েছো তুমি,
আমাদের মনের দেয়ালে আঙুলের
ছাপ ফেলে!?
পালাবার আগে উচিত ছিলো না
তোমার;
সে সমুদ্রের তলদেশে নামার মন্ত্রখানা
শিখিয়ে যাবার।
আপনার মতামত লিখুন :