NarayanganjToday

শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জের তিন থানায় আরও ৩ মামলা


নারায়ণগঞ্জের তিন থানায় আরও ৩ মামলা

নারায়ণগঞ্জের তিনটি থানাতে বিএনপি ও জামায়েত ইসলামী নেতাকর্মীদের আরও তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সদর মডেল থানা, ফতুল্লা মডেল থানা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

৩০ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, ফতুল্লার শিবু মার্কেট এবং সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, অগ্নি সংযোগ এবং ভাঙচুড়ের অভিযোগ আনা হয় এসব মামলায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, শওকত হোসেন (৫০),  হারুন অর রশিদ (৫০), হাসিবুল ইসলাম সাঈদ (৩৫), আশিকুল ইসলাম সাজিদ (৩২), মনির হোসেন সরদার (৫০), ফারুক হোসেন (৫৫), মনিরুল ইসলাম সজল (৪৫), মো. সাহেদ ওরফে বোমারু সাহেদ (৩৫), মো. রহমান (৪২), মোজাম্মেল (৪৩), বাবু (৪৫), আনোয়ার মাহমুদ বকুল (৪০), হারুন ওরফে পোটলা ড্রাইভার (৪৮), ফারুক মাল (৪২), কে এম মাজাহারুল ইসলাম জোসেফ (৪৫), মেমা. কাহ আলম (৩৫), ফয়সাল (৩৬), লিংকন খান (৩৮), সেলিম মোল্লা (৫০), গলা কাটা জাকির (৪০), আক্তার হোসেন অপু (৪২), মোহাম্মদ আলী (৪৮), এম এ হান্নান মামুন (৫০), ডিস মিঠু (৪০), শাহজালাল সরদার (৪৫), আরিফ হোসেন (৩৬), কাজী সেজান (৪০), তোফাজ্জল হোসেন টিয়া (৫৫), জুয়েল নূর (৪৫)।

মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান।

অন্যদিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় কুতুবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা, শহিদুল ইসলাম টিটু, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর, বিএনপি নেতা আলী আহমেদ ইঞ্জিনিয়ার, এনামুল হক মামুন, হান্নান মিয়া, ইসমাইল হোসেন, শহিদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন খান, জাহাঙ্গীর, আলমগীর, আমির হোসেন, মিঠু, রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাহ হোসেন, ইকবাল, জুয়েল আরমান, নয়ন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু।

এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন।

এই মামলায় আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আনিস, বিএনপি নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদল নেতা মাসুম গাজী, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন।
 
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তাদের কোনো নেতাকর্মী মিছিল বা মিটিং করেনি। নারায়ণগঞ্জে একটি মহল আছে। যাদের কাজই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে প্যানিক সৃস্টি করা। এদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সারা দেশের মানুষই জানে। এটি এই মহলেরই কাজ। বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতেই এসব করানো হয়েছে।’

উপরে