NarayanganjToday

শিরোনাম

এখন সিটি করপোরেশন কিছু বলে না কেন : সেলিম ওসমান


এখন সিটি করপোরেশন কিছু বলে না কেন : সেলিম ওসমান

এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে অগ্রিম পোস্টার লাগানো ব্যক্তিদের এক হাত নিয়েছেন সাংসদ সেলিম ওসমান। প্রশ্ন তুলেছেন তাদের লজ্জা-শরম নিয়েও। কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, একটার পর একটা পোস্টার! আরে বাপ রে বাপ, রঙিন পোস্টারের অভাব নাই। কই, সেলিম ওসমানের একটা পোস্টার দেখছেন?

তার যুক্তি, একটা পোস্টারের যে খরচ যায় তা দিয়ে একজন এতিমের একদিনের খাবার হয়ে যাবে। তাই তিনি বলেন, একটা রঙিন পোস্টারের খরচ দিয়া একজন এতিমের খাবার হয়। লজ্জা করে না, এভাবে পোস্টার লাগাতে?

শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’র ভিত্তিপ্রস্তর ও  নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওইসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ হোসনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রাব্বী মিয়া এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী।

কারো নাম উল্লেখ না করে সাংসদ সেলিম ওসমান বলেন, অনেকদিন আগে এক নেত্রী এই নবীগঞ্জে এসে ইলেকশন করার জন্য ভিত্তি স্থাপন করে দিয়ে গেছেন। উনি ওই পর্যন্তই শেষ। আমি কোনো কটাক্ষ করছি না। আমার এক্স সংসদ সদস্যরা বলেন, সরকারি প্রক্রিয়া অনুযায়ী উন্নয়ন হচ্ছে। আরে, ওনারা তো উন্নয়ন চোখেই দেখেন না।

এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে অগ্রিম শুভেচ্ছা জানানো ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে সেলিম ওসমান বলেন, নির্বাচন করতে চান তো এলাকায় আসেন। ইলেকশনেই কেন খরচা করবেন, এখনই গরীব মানুষের জন্য খরচা করেন না। নারায়ণগঞ্জের মানুষ কিন্তু আপনাদের জানে, চিনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ কিন্তু ক্ষেপে না। যদি একবার ক্ষেপে তাহলে বুঝতে পারবেন না। যেখানকার মানুষ সেখানে চলে যাবেন।

তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটু ধৈর্য্য ধরেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন তাহলে দিবেন।

সিটি করপোরেশনকে উদ্দেশ্য করে সেলিম ওসমান বলেন, এতো ব্যানার, এতো পোস্টার। এখন সিটি করপোরেশন কিছু বলে না কেন? ইলেকশনের নিয়মনীতি অনুযায়ী তো আপনি পোস্টারই বানাতে পারবেন না।

৬ অক্টোবর, ২০১৮/এসপি/এনটি

উপরে