NarayanganjToday

শিরোনাম

এটিএম কামালের আবেগঘন স্ট্যাটাস


এটিএম কামালের আবেগঘন স্ট্যাটাস

নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং সেই আন্দোলন সংগ্রামে তার পরিবারের বিশেষভাবে তার অসুস্থ স্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিএনপি নেতা এটিএম কামাল।

কামাল লিখেছেন, আমার চরম দুঃসময়ে যে ছায়ার মত পাশে থেকেছে, আজ তাঁর সংকটকালে তাঁকে ফেলে আমি কিভাবে আসি। আমাকে নিয়ে ভাববেনা। আমি ও আমার পরিবার দলের জন্য সর্বোচ্চ দিতে চেষ্টা করেছি। কতটুকু করতে পেরেছি তা জানিনা তবে বিনিময়ে যা পেয়েছি সেটার মূল্য অসীম। দেশনেত্রীর আস্হা ও স্নেহধন্য হতে পারাটা আমার রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি বলেই আমি মনে করি। তাই পদ আর কমিটি নিয়া ভাবিনা। ৯৬তে আমার পদ ছিলনা, কমিটিতেও ছিলামনা, তখনো যা করেছি তাতো এখনো অনেকের ই মনে থাকার কথা। সে সময়ও রাজনৈতিক কারনে মিথ্য হয়রানিমূলক ২৪টি মামলার আসামি হয়েছিলাম।

কেয়ার চিকিৎসার জন্য প্রায় বছর গড়িয়ে গেল আমি এমেরিকায়। কেয়ার শরীরটা এই ভালো এই খারাপ। তারপরেও আল্লাহর কাছে হাজার শুকরীয়া চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনেই আছে।নানা কারনে দেশে থাকলে যেটা আমার জন্য কষ্ট সাধ্য হতো, সেটা এখানে আল্লাহর অশেষ রহমতে শমি ও তাঁর স্বামী কবিরের জন্য নির্বিগ্নে হয়ে যাচ্ছে।আমি শুধু সময় মতো ঔষধ পথ্যের দিকটা খেয়াল রাখি। কেয়া অনেক সময় অসুধ খেতে চায়না। খাবার নিয়েও নানা মর্জি করে। তার শিশুসুলভ আচরনে অনেক সময় বিরক্ত হই। কিন্তু যখন ভাবি সারাটা জীবন তাকে বিরক্ত করেছি। বছরের পর বছর জেলে ছিলাম। রাজনীতির জন্য ছেলেমেয়ে সংসার কোনকিছুর দিকেই খেয়াল রাখিনি। সব ঝামেলা একা তাকেই সামলাতে হয়েছে। মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন, দফায় দফায় বাড়ীতে পুলিশি তল্লাশী , পুলিশের লাঠি পেটায় আহত হয়ে হাসপাতালে পড়ে থাকা। জেলে খাবার দেওয়া, শীত, গ্রীষ্ম,বর্ষায় আমার জামিনের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা কোর্ট চত্বরে পড়ে থাকা। রিমান্ডে নিলে থানায় বা ডিবি অফিসের সামনের ফুটপাতে ছেলেকে নিয়ে রাত কাটানো। সেইসব বৈরী সময়ে তাঁর ভূমিকার কথা মনে হলে সব বিরক্ত ভূলে যাই।

উপরে