NarayanganjToday

শিরোনাম

বিএনপি নেতাদের বিদ্রুপ, কটাক্ষে ক্ষোভ


বিএনপি নেতাদের বিদ্রুপ, কটাক্ষে ক্ষোভ

বিএনপি থেকে তৈমূর আলম খন্দকার ও এটিএম কামালের বহিস্কারাদেশে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাবেক যুবদল সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তিনি এ ঘটনায় এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছেন যে, নিজের ফেসবুকে কেন্দ্রীয় নেতাদের ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করে পোষ্ট দিতেও কার্পণ করছেন না। তবে, তার এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপির তৃণমূল।

তারা বলছেন, মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যেসব পোস্ট দিচ্ছেন তা চরম নোংরামি। তিনি দলীয় নেতাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে যেসব পোস্ট করছেন তা স্পষ্টতই দলের বিরুদ্ধে তার অবস্থান। এটা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল বলে মনে করছে তৃণমূল।

জানা গেছে, তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার তার ভাই ও এটিএম কামালের বহিস্কারের পরপর চারটি পোস্ট দেন ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে। যার প্রতিটিতেই কেন্দ্রীয় নেতাদের যাচ্ছেতাই বলে বিদ্রুপ করা হয়েছে। একই সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের তীব্র সমালোচনাও করেন তিনি।

খোরশেদ তার ফেসবুকের একটি পোস্টে লিখেন, “ এটিএম কামালের বহিস্কারের মাধ্যমে প্রমানিত হল কেন্দ্রীয় দোকানদারি আবারো চালু।প্রমানিত হলো কর্মের চেয়ে টাকার মূল্য বেশী।”

অপর একটি পোস্টে তিনি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে ‘সাপ’ হিসেবে উল্লেখ করে লিখেন, “ রিজভী সাপ, আমিও কিন্তু বিএনপির প্রাথমিক সদস্য। ৫ টাকা ফি দিয়া ফরম ফিলাপ কইরা সদস্য হইসি।”

এছাড়াও আরও একটি পোস্টে রুহুল কবীর রিজভীকে বিদ্রুপ করে খোরশেদ লিখেন, “ মিঃ ল্যাংড়া সিন্ডিকেট, মনে রাখবা পদ থেকে বহিস্কার করা যায়, মনের ভিতর পুষে রাখা বিস্বাসকে বহিস্কার করবা কেমনে?? হায়!! দোকানদার।”

সর্বশেষ একটি পোস্টে খোরশেদ বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয়ের আঞ্চলিকতা নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “ফরিদপুইরা বাবুল, বিক্রমপুইরা সালাম বিএনপি ইজারা নিসে???”

এদিকে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, খোরশেদ যেভাবে পোস্টগুলো লিখেছে তা শিষ্টাচার বহির্ভূত। এখানে তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এতে করে তিনি এটুকু বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তিনি আনুগ্যত নন। মোটাদাগে, তিনি এসব পোস্টের মাধ্যমে নিজেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

উপরে