NarayanganjToday

শিরোনাম

‘লাঙ্গল’ বিরোধী হাই এখন উল্টো রথের যাত্রী!


‘লাঙ্গল’ বিরোধী হাই এখন উল্টো রথের যাত্রী!

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা আব্দুল হাই। প্রবীণ এই রাজনীতিক ছিলেন সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই জীবন পার করে দিচ্ছেন। স্বচ্ছ রাজনীতিক হিসেবেই তিনি সর্বমহলে অধিক পরিচিত।

নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে সর্বপ্রথম ‘নৌকা’র প্রার্থী চেয়ে সরব বক্তব্য রেখেছিলেন তিনিই। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উপস্থিতিতে কাঁচপুরের একটি জনসভায় প্রথমবারের মতো ৫টি আসনেই নৌকার প্রার্থী চেয়ে জোরালো বক্তব্য রেখেছিলেন।

মূলত আব্দুল হাইয়ের বক্তব্যের পরই একে একে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে নৌকার পক্ষে দাবি তুলে যাচ্ছেন। তাঁদের সবারই এখন একটাই ভিশন, নৌকা ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনে অন্য কোনো মার্কা মেনে নিবে না।

তবে এবার সেই আব্দুল হাই রুট বদল করতে চলেছেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীরা। তাঁদের ধারণা, এতদিন যেই লাঙ্গলের বিরোধী তিনি করে আসছিলেন এখন সেই লাঙ্গলের প্রতীকি নির্বাচিত এমপির পক্ষেই কথা বলছেন তিনি। এ যেন অনেকের কাছেই ‘ভূত দেখার মতো চমকে যাওয়া।’

সূত্র মতে, লাঙ্গল প্রশ্নে এতদিন আব্দুল হাইয়ের বক্তব্য ছিলো স্পষ্ট এবং বেশ জোরালো। তিনি এ প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে বলেছিলেন, “আমাদের দাবি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই আমরা নৌকা চাই। মহাজোটের শরীক হিসেবে যদি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে হয় তবে, সেটি অন্য কোনো জেলায় দিক। নারায়ণগঞ্জে নয়। নেত্রীর কাছে আমাদের দাবি আমরা নৌকার প্রার্থী চাই।”

তৃণমূল বলছে, অমন স্পষ্ট করে লাঙ্গলের বিরোধীতাকারী আব্দুল হাই কি করে সাংসদ সেলিম ওসমানের পক্ষে যেয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের আয় নিয়ে? কারো কারো মতে, যখন কোনো মানুষ নীতিভ্রষ্ট হয়ে পড়েন, একমাত্র তিনিই একেক সময় একেক কথায় সুর ধরেন। হয়তো আব্দুল হাইয়ের ক্ষেত্রে তেমন ঘটে থাকতে পারে।

সূত্র বলছে, ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলায় দুটি আসন এবং এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি আসন মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি (এরশাদ)কে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার সেই ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবন্দ।

১৩ জুন, ২০১৮/এসপি/এনটি

উপরে