NarayanganjToday

শিরোনাম

টার্গেট গিয়াসউদ্দিনসহ অনুগামিরা


টার্গেট গিয়াসউদ্দিনসহ অনুগামিরা

সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ঘোষণার পর পৃথক থানায় ৯টি মত মামলা দায়ের হয়েছে। যার প্রতিটি মামলাতেই সাবেক এই সাংসদের অনুসারিরাই আসামি।

তবে, এসব মামলা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি শাহ্ আলম, সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ অনুগামিরা।

দলটির নেতাকর্মীদের অভিযোগ মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন কখনই আঁতাতের রাজনীতি করেন না। তার অনুগামিরাও কারো সঙ্গে আঁতাত করে চলেন না। যার কারণে বিগত পনের বছর ধরে তিনিসহ তার অনুগামি নেতাকর্মীদেরকেই সব থেকে বেশি নর্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। সম্প্রতি তাকে আহ্বায়ক ঘোষণা করায় দলের ভেতরে যেমন একটি গ্রুপ বিরোধীতা করছে তেমনি এই গ্রুপের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতাও নানা কৌশলে কলকাঠি নাড়ছেন।

তারা দাবি করেন, গিয়াসউদ্দিন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পর এখানকার বিএনপিতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। জোয়ার এসেছে দলটির মধ্যে। যার প্রমাণ কদিন আগেই দেখেছে জেলাবাসী। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ব্যাপক লোক নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি।

নেতাকর্মীরা আরও বলেন, গিয়াসউদ্দিন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী একজন সংগঠক। তিনি সরকারি দলের জন্য মাথা ব্যথারও কারণ। বিশেষ করে সরকারি দলের একটি প্রভাবশালী পরিবার আগের থেকেই চেষ্টা করে আসছিলেন, গিয়াসউদ্দিনকে নানা কৌশলে কোনঠাসা করার। এ জন্য এই পরিবারটি নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী মনিরুজ্জামান, শাহ্ আলম, মামুন মাহমুদকে কাজে লাগিয়ে দলীয়ভাবে গিয়াসউদ্দিনকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হওয়ার পরই এই পরিবারটি পুরোপুরিভাবে দুঃচিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কেননা, এই পরিবারের সঙ্গে লড়াই করার সবটুকু সমর্থই রয়েছে গিয়াসউদ্দিনের। আর এ কারণেই এই পরিবারের মাঝে গিয়াসউদ্দিন ভীতি কাজ করছে।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে এতগুলো মামলা হলেও নজরুল ইসলাম আজাদ, কাজী মনিরুজ্জামান, শাহ্ আলম, মামুন মাহমুদ অনুগামিরা আসামি না হওয়াতে সরকারি দলের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্কের বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে। তারা বলছেন কারা আঁতাত করে আর কারা করেন না তা বর্তমানে দায়ের করা মামলাগুলোর দিকে তাকালেই বুঝা যাচ্ছে। কেননা, এরা আঁতাত করে বলেই তাদের অনুগামিরা আসামি হচ্ছে না। এরা দলের জন্য বিষফোঁড়া বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল।

উপরে