NarayanganjToday

শিরোনাম

রূপগঞ্জজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বজলু


রূপগঞ্জজুড়ে রয়েছে অসংখ্য বজলু

শুধু এক বজলুই নয়; পুরো রূপগঞ্জে এমন আরও অসংখ্য বজলুকে গত একযুগ ধরে শেল্টার দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তুলেছে প্রভাবশালী একটি পরিবার। সরকার সংশ্লিষ্ট এই পরিবারটির ছত্রচ্ছায়াতে তারা নানা ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে চলেছে। অবশ্য তারা যা করেন তার সবটাই এই পরিবারের আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে করছেন বলেই জানা গেছে।

জানা গেছে, নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার স্বার্থে ছিঁচকে চোর থেকে বজলুকে ডন বানিয়েছে প্রভাবশালী ওই পরিবার। এই পরিবারটির বিরুদ্ধে অসংখ্য ভূমিদস্যুতার অভিযোগ শোনা যায়। তবে, পরিবারটি এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের ভয়ে কেউ টু-শব্দটি পর্যন্ত করতে সাহস না পেলেও রূপগঞ্জের বাতাসে কান পাতলে অসংখ্য মানুষের হাহাকার শোনা যায়।

সূত্র জানায়, ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে আরও একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ রয়েছে। এই প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার জন্যই একাধিক বজলুকে শেল্টার দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করেছে তারা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে ভূমিদস্যুতাসহ অসংখ্য রাহাজানি, চাঁদাবাজির অভিযোগ। সম্প্রতি এই পরিবারের শেল্টারে থাকা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ প্রকাশ্যে রাম দা, চাপাতি হাতে নিয়ে মিছিল করেও আলোচনায় আসে।

জানা গেছে, এই পরিবারটি বাহ্যিকভাবে অত্যন্ত ভদ্র হলেও তাদের অন্দর মহলে যারা উঁকি দিয়েছেন তারা দেখেন তাদের ভেতরটা কতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন। কতটা ভয়ঙ্কর তারা। পুরো রূপগঞ্জজুড়েরই এই পরিবারটির আধিক্য। এই আধিক্য বজায় রাখতেই বজলুদের মত সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে থাকে তারা। আর তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ছিঁচকে চোর থেকে বজলু শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন। সম্প্রতি এই ডন বজলু গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা হয়েছে, তার শেল্টারদাতাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসার। কিন্তু প্রশাসনের হাত এই পরিবারকে স্পর্শ করতে পারবে না বলেই মন্তব্য করেছেন অনেকে।

সূত্র জানায়, বজলু মাদক, জুয়া, জাল টাকার পাশাপাশি নিজের সংগ্রহে রাখেন সুন্দরী রমণীও। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রমণীদের পাঠাতো সে। শোনা যায়, ওই পরিবারের বড়কর্তারও নাকি নারী প্রীতি রয়েছে। তাকেও বজলু অল্প বয়সী নারী সাপ্লাই দিয়ে থাকতেন।

অল্প সময়ে টাকার কুমির বনে যাওয়া বজলুর অধীনে রয়েছে ২০-এর অধীক সুন্দরী। বিভিন্ন সময়ে ওইসব প্রভাবশালীদের সুন্দরী নারী দিয়ে সন্তুষ্ট করেন। চাউর রয়েছে, বজলুর উপহার দেওয়া এক সুন্দরী নারী এক প্রভাবশালীকে মনোরঞ্জনে সন্তুষ্ট করায় ওই প্রভাবশালী বজলুকে ২০ লাখ টাকার কাজ পাইয়ে দেন।

বজলুর ব্যক্তিগত সহচরের ঘনিষ্ট ওই সূত্রটি জানান, সপ্তাহে একজন সুন্দরী নারী দিতে হয় রূপগঞ্জের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে। বজলুর এসব অপকর্মের কারণে চনপাড়ার অনেকে তার প্রতি ক্ষুব্ধ। এসব কথা চনপাড়ায় মানুষের মুখে-মুখে চাউর রয়েছে।

বজলুর সঙ্গে সঙ্গ দেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বজলুর অধীনে রয়েছে হেনা আক্তার, মমতা সাহা, বিলকিস আক্তার, করবী সুলতানাসহ অসংখ্য সুন্দরী নারী। এরা কেউ হাজীনগর থাকেন। কেউ রামপুরা, কোনাপাড়া থাকেন। বজলুর অধীনে ২০ নারী ছাড়াও তিনি ধানমন্ডি থেকে হাই প্রোফাইল মক্ষিরাণীদের নিয়ে আসেন। এ খাতে প্রতিমাসে তার লাখ খানেক টাকা ব্যয় হয় হবে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। (চলবে)

উপরে