বিষয়:
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০৭:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ১১:৪৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জ টুডে
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ১১:৪৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জ টুডে
বন্দর উপজেলা এখন পুরোটাই ওসমান পরিবারের হাতে। এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ও ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) সবই তাদের অনুসারি রাজনীতিক। ফলে এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বন্দরে ওসমান পরিবার শক্ত একটি ঘাঁটি করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বন্দর উপজেলা নির্বাচনে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রকাশ্য ওসমান পরিবার অনুসারি হলেও অনেকেই মনে করেন, তিনি ভেতরে ভেতরে মেয়র আইভী ও তার অনুসারি আবু সুফিয়ানের সাথে আঁতাত করেই চলেন। যার কারণে, এ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী না হয়ে আব্দুর রশিদের জন্য মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন সুফিয়ান।
এদিকে অনেকেই ভেবেছিলেন, সুফিয়ান দলীয় মনোনয়ন না পেলে ওসমান পরিবার ঘনিষ্ঠজনকে কিছুতেই ছাড় দিবে না। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও দাঁড়াবেন। কিন্তু শেষতক তিনি নির্বাচনে মাঠ থেকে সরে যান আব্দুর রশিদকে সমর্থন দিয়ে। আর এতেই অনেকের মাঝে সন্দেহের দানা বেঁধেছে। অনেকেরই ধারণা, আব্দুর রশিদের সাথে আইভীসহ তার অনুসারিদের গোপন আঁতাতের কারণে সুফিয়ান নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন।
অপরদিকে সুফিয়ানসহ মেয়র আইভীর সাথে যে আব্দুর রশিদের গোপন একটি আঁতাত রয়েছে সেটি প্রমাণ করে বেশ কিছু ছবি। যেসব ছবিতে আব্দুর রশিদের ছোট ভাইকে মেয়র ও সুফিয়ানের সাথে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, আব্দুর রশিদের ছোট ভাই ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু মেয়র বলয়ের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও আব্দুর রশিদের সাথে সুফিয়ানেরও বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি রয়েছে।
কারো কারো মতে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর পিছনে শামীম ওসমানের অবদান অনিস্বীকার্য। কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আনোয়ার হোসেন ওসমান পরিবার বলয় থেকে ছুট দেন। তিনি নিজের মতো করেই রাজনীতি করছেন বলয়মুক্ত হয়ে। একই ভাবে আব্দুর রশিদের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।
তবে, ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ও সালামা হোসেন শান্তা ওসমান পরিবার বলয়ের লোক এতে কোনো সন্দেহ নেই। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করা সানু একসময় প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের সাথে রাজনীতি করলেও বর্তমানে তিনি সাংসদ সেলিম ওসমানের সাথে রয়েছেন। আর শান্তা মহিলা যুবলীগের নেত্রী। তিনি সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারি হিসেবে পরিচিত।
এদিকে স্থানীয় সূত্র বলছে, আব্দুর রশিদ, সানাউল্লাহ সানু এবং সালমা হোসেন শান্তাকে নির্বাচিত করার জন্য সব রকম ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন ওসমান পরিবারের দুই ভাই। তাদেরকে নির্বাচিত করার জন্য কোথাও কোথাও সমঝোতার আশ্রয় নিয়েছেন তারা। পর্দার আড়ালে থেকে এসব কিছুই হয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত এই তিনজন ওসমান পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
১৯ জুন, ২০১৯/এসপি/এনটি
আপনার মতামত লিখুন :