NarayanganjToday

শিরোনাম

আইভীর বেলায় তুমুল লড়াই এসপির বেলায় শূন্য কড়াই


আইভীর বেলায় তুমুল লড়াই এসপির বেলায় শূন্য কড়াই

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে অ্যাকশনে নেমেছেন। দখলমুক্তও করেছেন। তাকে কেউ বাধা দিতে আসেনি। কোনো সংঘর্ষও হয়নি। এমনকি হকার উচ্ছেদের পর কেউ এখনও পর্যন্ত পুনর্বহালের দাবিতে মিছিল, মিটিং অনশনও করেনি। কিন্তু বিপরীত চিত্র ছিলো মেয়র আইভীর বেলায়!

নগরবাসী বলছেন, জগতের প্রতিটা মানুষই শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। সেটি আবারও প্রমাণিত হলো বঙ্গবন্ধু সড়কের হকার উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে। কেননা, ইতোপূর্বে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এই সড়কের হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে আহতও হয়েছিলেন ওসমান পরিবার অনুসারিদের দ্বারা। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের স্বার্থের কারণে হকারমুক্ত আর রাখা যায়নি ফুটপাত। তারা হকার উচ্ছেদে বাধা দিয়েছেন, জোর করে ফুটপাতে হকারও বসিয়েছেন। কিন্তু এখন তারা একটি টু শব্দও করেননি। হকারদের পক্ষে মায়া কান্না কেঁদে বক্তব্য, সভা, সমাবেশও করেননি।

এদিকে, এর আগে যখন নাসিক হকার উচ্ছেদ করেছিলো তখন হকার নেতা রহিম মুন্সির নেতৃত্বে সকল হকারই গিয়েছিলেন রাইফেল ক্লাবে। পরবর্তীতে পর্দার আড়ালে থাকা প্রভাবশালীদের নির্দেশে সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে যবরকম আন্দোলনই তারা করেছেন। কিন্তু এবারের চিত্রটি একদমই ভিন্ন রকম। এবার তারা আর রাইফেল ক্লাবে যাননি।

সূত্র বলছে, এবার বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদের পর রহিম মুন্সির নেতৃত্বে একদল হকারকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঘুরঘুর করতে দেখা গেছে। তারা পুলিশ সুপারের অনুমতি নিয়ে বিকেল পাঁচটা থেকে ফুটপাতে বসার জন্য অনুনয় বিননয়ও করেছেন বলে জানা গেছে।

তবে, হকার নেতা রহিম মুন্সিসহ অন্যরা পুলিশ সুপারের সাথে ফুটপাতে বসার ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ডিআইও-টু সাজ্জাদ রোমন।

এদিকে নগরবাসী বলছেন, মেয়র আইভী যখন হকার উচ্ছেদ করেছিলো তখন হকারদের উস্কে না দিয়ে, তাদের সাথে মেয়রের বিপক্ষে যদি সাংসদ শামীম ওসমান মাঠে না নামতেন তাহলে আজ হকারদের পুনর্বাসনের একটি ব্যবস্থা হতো। তারা মনে করেন, তখন মেয়রের বিরোধীতা না করে হকারদের পুনর্বাসন কি করে করা যায়, কোথায় করা যায় তা নিয়ে এক টেবিলে বসে আলোচনা করলে আজকের এই সমস্যা সৃষ্টি হতো না।

এছাড়াও নগরবাসী বলছেন, হকার ইস্যু নিয়ে ইতোপূর্বে মেয়র আইভী ও সাংসদ শামীম ওসমান পন্থীদের মধ্যে যে লঙ্কাকা- ঘটে গিয়েছিলো তা ছিলো আইভীর বিরোধীতার কারণেই। কেননা, ওসমান পরিবার তথা শামীম অনুসারিরা যে কোনো ভাবেই সুযোগ পেলেই মাঠে নামেন আইভীকে জব্দ করার জন্য। আবার মেয়র আইভীও একই পথ অনুসরণ করেন। ফলে, সেদিনের হকার ইস্যু নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাও বিরোধীতার কারণেই বিরোধীতা করা হয়েছিলো।

তবে, নগরবাসী বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে হকার উচ্ছেদ করার জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন। পাশাপাশি শহরের অবৈধ লেগুনা, সিএনজি, অটো রিকশা স্ট্যান্ডগুলোর দিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান করেন নগরের শান্তিপ্রিয় মানুষ।

১৯ জুন, ২০১৯/এসপি/এনটি

উপরে