NarayanganjToday

শিরোনাম

মুখোমুখি হবেন শামীম ওসমান-এসপি হারুন, খেলা হবে!


মুখোমুখি হবেন শামীম ওসমান-এসপি হারুন, খেলা হবে!

সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা এরপর সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর মুখোমুখি হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ। এই দুই সাংসদের সাথে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেন এসপি। পর্যায়ক্রমে জেলার অপর তিন সাংসদের সাথেও এই প্রীতি ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে, সাংসদ শামীম ওসমান এবং এসপি হারুন কবে মুখোমুখি হবেন, এ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই জেলাবাসীর মধ্যে। তাদের প্রশ্ন, কবে এই দুইজনের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে?

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিলো জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং ডিআইও-টু সাজ্জাদ রুমনের কাছে। তিনি জানালেন, পর্যায়ক্রমে জেলার অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সাথেও প্রীতি ম্যাচ এবং ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, ধারাবাহিকতায় এবার রূপগঞ্জে ‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ’ এবং প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর ফতুল্লা ও সদর।

সূত্র বলছে, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করার লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমাবেশ ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজনটি ব্যতিক্রম। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সমাবেশের থেকেও বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে পুরিশ প্রশাসেনর মধ্যকার ফুটবল ম্যাচটি। যা সবার কাছেই বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠে।

ইতোপূর্বে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এবং সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর সাথে এসপি হারুন একাদশ ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন। দুটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ উত্তেজনা, উৎসাহ আর উচ্ছ্বাস ছিলো লক্ষণীয়। যদিও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিনিধিদের সাথেও অনুরূপ খেলা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, এর মধ্যে সব থেকে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে সাংসদ শামীম ওসমানের বিপরীতে এসপি হারুনের মুখোমুখি হওয়াকে কেন্দ্র করে।

এদিকে সাংসদ শামীম ওসমান এবং এসপি হারুনের মধ্যকার শেষতক খেলা হবে কিনা, এ নিয়ে অনেকে যেমন সন্দিহান আবার তাদের মধ্যকার খেলা হবে, এ নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত বহুজন। অনেকেই প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন, কবে শামীম ওসমান ও হারুনের মধ্যে খেলা হবে? পাশাপাশি, আদতে এই দুইজনের মধ্যে অন্যদের মতো খেলা হবে কিনা, এ নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

এদিকে কারো কারো মতে, সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে এসপি হারুনের সম্পর্কে দূরত্ব রয়েছে। তাই এই দুজনের এক সঙ্গে মাঠে নামাটা সন্দিহান। তারা মুখোমুখি হবেন, খেলবেন, এ সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে, এই দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে দূরত্ব রয়েছে তা তারা কখনো প্রকাশ্যে বলেননি। তাছাড়া বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এবং এসপি হারুন একসঙ্গেই হয়েছিলেন। সবশেষ পহেলা বৈশাখে এসপির আমন্ত্রণে সাংসদ শামীম ওসমান গিয়েছিলেন এসপির বাংলোতে। সেখানে এসপি হারুন নিজ হাতেই অপ্যায়ন করেছিলেন সাংসদকে।

তবে সে যাহোক, এবার দেখার পালা শেষতক সাংসদ শামীম ওসমান ও এসপি হারুন ধারাবাহিক ভাবে দুজন দুজনার মুখোমুখি হয়ে মাঠে নামেন কি না। এখন সেটাই দেখার বিষয়। আর সেটি নিশ্চিত হতে হলে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। আর সে পর্যন্ত চলকু আলোচনা, জল্পনা, কল্পনা।

৩০ জুলাই, ২০১৯/এসপি/এনটি

উপরে